ইউনিয়ন তথ্য ও সেবা কেন্দ্র (বর্তমানে ইউডিসি) যখন কাজ করার আমন্ত্রণ পাই তখন পথটা সহজ ছিল না, তৎকালীন চেয়ারম্যান জনাব মোহাম্মদ আলী খান বিনা বেতনে অর্থের বিনিময়ে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কাজের জন্য প্রস্তাব দেন।
৫ভাই ২বোন মিলে যৌথ পরিবার, বাবা একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি ছিলেন। বাবা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক, সীমিত আয়ে সকলের পড়াশোনার ব্যায় বহন করতে হিমশিম খেতেন। বেকার ছিলাম আর ব্যবসা করতে অনেক টাকা পয়সা লাগে যা যোগান দেয়া আমার বাবার পক্ষে সম্ভব নয়। ভাবলাম কিছু একটা তো হবে যদিও বেতন নাই তবুও যদি কোন সম্ভাবনা তৈরি করতে পারি। তাহলে পরিবারের জন্য কিছুটা সহায়ক ভূমিকা রাখতে পারবো।
এই কাজের সাথে সম্পৃক্ত হবার পর আমার জীবনে কিছু পরিবর্তন এসেছে, পরিবারে একটা কর্তৃত্ব চলে আসে। সমাজে আমার নিজের ১টি পরিচয় সৃষ্টি হয়। উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার একটি সেতু বন্ধন সৃষ্টি হয়। কাজ করতে অনেক ভালো লাগে। বড় বড় কর্মকর্তাগণ অনুপ্রাণিত করেন। দ্রুত অনেক অনেক সেবা সংযুক্ত করি। দিনে দিনে সেন্টারটি জনপ্রিয় হয়ে উঠে। সেবার পরিধী বৃদ্ধির সাথে সাথে গ্রাহক সন্তুষ্টি ও আমার আয় বৃদ্ধি পেতে থাকে। বর্তমানে অর্থনৈতিক, সামাজিক ও পারিবারিক ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠিত হতে পেরেছি।
এই সেন্টারের বাইরে আমার একসেবা ডিজিটাল সেন্টারে সিটি ব্যাংক আউটলেট, প্রবাসী হেল্প ডেস্ক, সিএমএসএমই (ওয়ান স্টপ সার্ভিস পয়েন্ট) নামক একটি প্রতিষ্ঠান হারাটি ইউনিয়ন এর ফড়িং এর দিঘী বাজারে ৩০-০৪-২০১৯ইং তারিখে (পরবর্তীতে মহেন্দ্রনগর বাজারে) মাননীয় স্থানীয় সংসদ সদস্য গোলাম মোহাম্মদ কাদের, উপ পরিচালক স্থানীয় সরকার, লালমনিরহাট মোঃ রফিকুল ইসলাম ও উপজেলা চেয়ারম্যান জনাব মোঃ কামরুজ্জামান সুজন মহোদয় শুভ উদ্বোধন করেছেন।
ভবিষ্যতে আউট সোর্সিং এর মাধ্যমে অত্র ইউনিয়ন এর সকল শিক্ষিত বেকার যুবক ও যুবতীদের কর্মসংস্থান সৃষ্টি। অপটিক্যাল ফাইভার এর মাধ্যমে উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন ইন্টারনেট সমগ্র ইউনিয়ন এ পৌছে দিতে চাই। বিভিন্ন প্রশিক্ষনের ব্যবস্থা সহ ডাটা এন্ট্রি ফার্ম হিসেবে প্রতিষ্ঠানটি গড়ে তুলতে চাই। তথ্য প্রযুক্তিতে সেরা প্রতিষ্ঠান হিসেবে হারাটি ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারটি গড়ে তুলতে চাই।
এ কে এম ওয়াজেদ কবীর
উদ্যোক্তা
হারাটি ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার
সদর, লালমনিরহাট।
মোবাইলঃ ০১৭২২৯৮৬৮১৩
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস